সিলেটের হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারে তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভক্তরা আসতে শুরু করেন। তবে এবার জনসমাগম অন্যবারের তুলনায় অনেক কম।
সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন প্যান্ডেল ও ইবাদতখানায় ভক্ত অনুরাগীরা নামাজ ও জিকির আজগার করছেন। কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
জামালগঞ্জ থেকে আসা বাউল সুরত আলী কালবেলাকে বলেন, প্রতিবছর আমরা বাবার মাজারে এসে জিকির আজগার করি। ভক্তিমূলক গান গাই। কিন্তু ভক্তরা এবার হতাশ।
ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, প্রথম দিনেই আমরা ১০/১২ হাজার টাকার ব্যবসা করে থাকি। কিন্তু এবার হাজার টাকাও হয়নি। মানুষ কম। দ্বিতীয়, শেষ দিনেও মানুষ আসবে বলে মনে হয় না। গান-বাজনা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মাজার কর্তৃপক্ষ। তবে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্ত আশেকানরা ভক্তিমূলক গান গাইতে চান।
ছাতক থেকে আসা আব্দুল আজিজ কালবেলাকে বলেন, সাতশ বছর হয়ে গেছে হযরত শাহপরাণ (রহ.) সিলেট এসেছেন। এখানে মাজারে ভক্তিমূলক গান গাওয়া একটা সিলসিলা। গাঁজা, মদ নিষিদ্ধ হোক-আমরাও চাই। আমাদের ক্বলব জানে আমরা কীভাবে ওরস করব। আমরা আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ওরস করে থাকি।
রোববার রাত থেকে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিন খতমে কোরআন, দোয়া ও জিকির এবং মিলাদ মাহফিল। দ্বিতীয় দিন গিলাফ চড়ানো, গরু জবেহ, সারারাত জিকির ও মিলাদ মাহফিল এবং ভোর ৪টায় ফাতেহা পাঠ। শেষ দিন বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের পর নেওয়াজ বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা মাজার এলাকায় অবস্থান করছেন। অস্থায়ীভাবে ঘর ও সামিয়ানা টানিয়ে আলাদা আলাদা গানের আসর তৈরি করা হয়েছে।
সিলেটের মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, মাজারে আসা ভক্তদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে।
মন্তব্য করুন