জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ৭নং চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদকে জোরপূর্বক বিদ্যালয় থেকে বের করে তার কক্ষে তালা দেওয়ার ঘটনায় দুই যুবদল ও এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয় মাঠ থেকে তিনজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে তাদেরকে করে থানা নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার চরবানী পাকুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম (৩৮) ও মো. আশরাফুল আলম (৪০) এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি বাবুল হোসেন (২৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে বেশ কিছু দাবি পূরণে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ করে। দাবিগুলো যৌক্তিক ও বিদ্যালয়ের স্বার্থে হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তা মেনে নেন। তারপরও বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী। সকালে আটককৃত ৩ জনসহ স্থানীয় কিছু লোকজন সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ করেন।
পরে বিষয়টি মেলান্দহের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করলে সেনাবাহিনী ইনচার্জ ক্যাপ্টেন নাফিজের নেতৃত্বে সকাল ১০টা দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে তালাবদ্ধ কক্ষ খুলে দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু করেন। সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ ক্লাস নিতে গেলে কিছু লোকজন ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দিতে আবারও স্কুলে তালা দিতে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে কয়েকজক শিক্ষার্থীও আহত হয়।
পরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জানালে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তালা দিতে যাওয়া লোকজন পালিয়ে যায়। এ সময় দৌড়ে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে মেলান্দহ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
মেলান্দহ থানার ওসি রাজু আহাম্মদ বলেন, ‘তিনজন আটক রয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
মন্তব্য করুন