রংপুরের পীরগাছায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকে বাঁচাতে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও পাল্টা মামলা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্র আন্দোলন নেতা রব্বানি ওরফে বাবু, শামিম, অন্ত, শাকিল, জুয়েল ও শাহিনসহ ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করেছেন রাঙ্গা।
এর প্রতিবাদে পরদিন শনিবার থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা এ মামলা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
মামলার এজাহারে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ‘দেশ স্বাধীনের নামে’ ছাত্র-জনতা লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার পাইপ, চায়নিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া দ্বারা পীরগাছা বাজার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ের তালা ভাঙে। এরপর ১৫ হাজার টাকার কাচের গ্লাস, টেবিল, ৩৫ হাজার টাকার ৪০টি চেয়ার, ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ৩২টি সিসি ক্যামেরায় হামলা করে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিএনপি নেতা রাঙ্গা তার আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলনের অফিস এবং আওয়ামী লীগ অফিস বাঁচাতে ওইদিন ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন। এতে ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। অথচ তিনিই ছাত্রদের ওপর মামলা করেছেন। শিক্ষার্থীরা রাঙ্গাকে গ্রেপ্তার এবং স্থানীয় বাজার সমিতির সভাপতি পদ থেকেও বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। তা নাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে রাঙ্গাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন শিক্ষার্থী একরামুল হক।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
পীরগাছা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
মন্তব্য করুন