নওগাঁয় স্বামীর দেওয়া আগুনে গৃহবধূ ফজিলাতুন নেছা (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। যৌতুকের টাকার জন্য পাষণ্ড স্বামী গোলাম রাব্বানীর দেওয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ ওই গৃহবধূ টানা ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ক্ষোভে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্র সমাজ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
নিহত ফজিলাতুন নেছা সদর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যেপাড়া গ্রামের গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী এবং উপজেলার কোমইগাড়ী সাকিদার পাড়ার ফজলুর হোসেনের মেয়ে। সেইসঙ্গে ফজিলাতুন নেছা নওগাঁ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সদস্য ছিলেন।
এ সময় ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য ওই গৃহবধূকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী গোলাম রাব্বানী ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত ২৭ আগস্ট সকালে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর প্রধান অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’