বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা কদরুল হাসান চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গার সোনারবাংলা গলির বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এ ঘটনায় তার সন্ধানের দাবিতে আজ রোববার সকালে মানববন্ধন করেন সহপাঠীরা। সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। কদরুল খুলনার সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন কলেজের ছাত্র।
এর আগে কদরুল নিখোঁজ থাকায় তার স্ত্রী সাঈদা খাতুন সোনাডাঙ্গা ও খুলনা সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ছাড়া তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন।
কদরুলের স্ত্রী সাঈদা খাতুন বলেন, তার স্বামী পড়াশোনার পাশাপাশি শেখপাড়া এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম চাকরি করেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে আমার স্বামী বাসা থেকে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথা হলে সে জানায়, আমি বন্যার্তদের ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছি। দ্রুত বাসায় ফিরব। পরে সে আর বাসায় ফেরেনি। রাত ১১টায় তাকে ফোন দিলে একবার তার নম্বর খোলা পাওয়া যায়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর থেকে নম্বর বন্ধ।
তিনি আরও জানান, রাতে তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজলেও তাকে পাইনি। গত শুক্রবার প্রথমে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় জিডি করি। পরে পুলিশের পরামর্শে রাতে খুলনা থানায় আরেকটি জিডি করি।
এ ব্যাপারে খুলনা থানার ওসি কামাল হোসেন খান জানান, কদরুল হাসানের সর্বশেষ অবস্থান নগরীর ময়লাপোতায় পাওয়া যায়। তারপর থেকে তার দুটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ রয়েছে। খোঁজ পেতে প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোচ্ছ চেষ্টা চলছে। তার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন