সম্প্রতি নারী ও পুরুষ শ্রমিককে সমতার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ, বিভিন্ন কারখানায় হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ নানা দাবিতে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেন। বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করায় শিল্পাঞ্চল সাভার আশুলিয়ার পোশাক কারখানা মালিকরা অনেকটা শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছিল। গতকাল শনিবার থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করায় মালিক পক্ষের সে শঙ্কা কিছুটা কেটেছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) শ্রমিকরা সকালে কর্ম ঘণ্টা শুরুর নির্ধারিত সময়ে কারখানাগুলোতে উপস্থিত হয়ে বেশিরভাগ কারখানায় কাজ করছেন। তবে কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা উপস্থিত হলেও তাদের দেওয়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ না করে বসে থাকেন।
বেলা ১২টা পর্যন্ত ওইসব কারখানার শ্রমিকরা কোনোরকম কাজ না করে বসে থাকায় কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলোর ছুটি ঘোষণা করে। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হয়েও কাজ না করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পোশাক কারখানার ভিতরে অবস্থান করছেন এমন খবর আশপাশের কারখানাগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর কর্মকর্তারা।
আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ জানায়, আজ সকালে শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন কারখানায় উপস্থিত হন শ্রমিকরা। তবে আল মুসলিম, মন্ডল ও নিউএইজ গ্রুপের কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করে বসে থাকায় কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাগুলো শনাক্ত করে কারখানাগুলোর সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকরা কারখানায় উপস্থিত হলেও আল মুসলিম, মন্ডল ও নিউএইজ গ্রপের কারখানার শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে বসে ছিলো। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করে। এ ছাড়া আশপাশে আরও অন্তত ৩০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। দুটি কারাখানায় ভাঙচুরের খবরও পেয়েছি তবে শিল্পাঞ্চল সাভার আশুলিয়ার পরিস্থিতি আগের চেয়ে বেশ শান্ত রয়েছে। কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে আভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে আশা করা হচ্ছে এগুলো তারা নিরাই সমাধান করবে।
বাংলাদেশ গামের্ন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, আশুলিয়ার মোট কারখানার শতকরা ২ শতাংশেরও কম কারখানায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। গিল্ডান, নাসা গ্রুপসহ যেসকল কারখানার মালিক আন্তরিক ছিলো সেগুলোর সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। মালিকপক্ষ একটু আন্তরিক হলেই এসকল সমস্যা খুব শিগগিরই নির্মূল হবে।
মন্তব্য করুন