লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খাল ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, বাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগীদের

লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী খালে তীব্র স্রোতে বেড়েছে নদীভাঙন
লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী খালে তীব্র স্রোতে বেড়েছে নদীভাঙন

লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী খালে পানির তীব্র স্রোতে তীর ভেঙে ভিটেমাটিসহ প্রায় ৩০টি ঘর ভেঙে তলিয়ে গেছে। খালের অব্যাহত ভাঙনে বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সংযোগ পিয়ারাপুর ব্রিজটিও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে খাল ভাঙন রোধে জরুরিভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পিয়ারাপুর গ্রামবাসী। পরে জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবর দাবিপূরণের লক্ষ্যে তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভূঁইয়া মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মহিন উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম, হেলাল উদ্দিন পাটওয়ারী ও মো. সুমন। এ ছাড়া পিয়ারাপুরসহ আশপাশের গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন।

বক্তারা বলেন, গত ৪০ বছরে রহমখালী খালের কারণে এমন ভাঙন দেখা যায়নি। শুনে আসছি একপাড় ভাঙলে অন্যপাড়ে চর জাগে। কিন্তু খালের এখন দুপাশেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পিয়ারাপুর ব্রিজের অদূরে খাল থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এখন ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বিস্তির্ণ জনপদ বিলীন হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় দ্রুত ব্লক স্থাপন করে বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খাল আশপাশের বাড়িঘরগুলোর অস্তীত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের পর বছর পিয়ারাপুরের ‘মধ্য চর’ এলাকায় অসংখ্য পরিবার বসবাস করে আসছে। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে কেউ না কেউ তাদের ভিটেমাটি হারাতে হয়। এ ওয়াপদা খালের গর্ভে। গত শুক্রবার ও শনিবার দুদিনে ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে ‘মধ্যে চর’ এলাকায় বসবাসরত ১২টি বসত বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। টুমচর এলাকায় যেভাবে খালের পাশে সুরক্ষিত তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক এখান দিয়ে তীর রক্ষা বাঁধ দিলে খালের ভাঙন রোধ হবে। নয়তো এ খালের ভাঙন অব্যাহত থাকবে।

ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মালেক, মো. দুলাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রাজন, আলেয়া বেগম, অছুরা খাতুন জানান, দুদিন পূর্বে আমাদের এখানে সাজানো-গোছানো সংসার ছিল। বাড়িঘর ছিল। রান্নার ঘর ছিল। উঠান ছিল। গাছপালা ছিল। সবাই সুখদুঃখে মিলেমিশে বসবাস করছি। বছরের পর বছর আমরা এখানে থেকেছি। এ রাক্ষসী খালের পেটে আমাদের সবকিছু। আমরা বড়ই নিঃস্ব। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমাদের প্রয়োজন এখন পূর্ণ বাসস্থানের। পরিবার-পরিজন মানবেতর জীবনযাপন করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অ্যাম্বুলেন্স-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল কৃষি কর্মকর্তার

দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী

চাল ধোয়া পানিতে লুকিয়ে আছে স্কিনের আসল রহস্য

দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

দেশ কোনো দলের কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা

কসবায় উদ্ধার করা মর্টারশেলের বিস্ফোরণ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষ, নিহত ১

ঘন কুয়াশায় দুই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

কোন কোন বিভাগে বৃষ্টি হবে জানাল আবহাওয়া অফিস

১০

যৌথ বাহিনীর অভিযানে নারী মাদককারবারি গ্রেপ্তার

১১

শীতে অসুস্থ হতে না চাইলে খেতে পারেন এই সুপারফুডগুলো

১২

কম্পিউটার মনিটরে ওয়ারেন্টি সুবিধা বাড়াল ওয়ালটন

১৩

সকালে হালকা গরম পানি খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

১৪

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

১৫

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় কল্পনাকে : পুলিশ

১৬

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১৭

আহ্ছানিয়া মিশনে চাকরির সুযোগ

১৮

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে

১৯

দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে জাসাস : মীর হেলাল

২০
X