ময়মনসিংহের ভালুকায় জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় এল এসকোয়্যার লিমিটেড কারখানায় অজ্ঞাত রোগে তিন দিনে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে কারখানাটিতে হঠাৎ করে এত শ্রমিকের অসুস্থতার কারণ এখনো জানা যায়নি।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে গেলে হঠাৎ করে ১৫-২০ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের চিকিৎসা দেওয়ার পর আরও ১৮০ জন শ্রমিক অসুস্থ হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এল এসকোয়্যার লিমিটেড কারখানায় তিনটি সেকশনে তিন হাজারেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ১৬ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শ্রমিকদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার পাঁচতলায় নারী শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। কিছুক্ষণ পর তারা অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যেতে শুরু করেন। একে এক প্রায় শতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় অনেকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, বমি ও খিঁচুনি দেখা দেয়। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ শ্রমিকদের ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন একাধিক রোগী জানান, পাঁচতলায় তারা কাজে যোগ দেন। পরে কারখানার ভেতরের পানি পান করার কিছুক্ষণ পরই তাদের শ্বাসকষ্ট ও বমিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
কারখানার অ্যাডমিন (এইচআর) মুঞ্জুরুল মুর্শেদ বলেন, কী কারণে এত নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। হয়তো ভয় থেকে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসানুল হোসাইন বলেন, জামিরদিয়া এলাকায় এল এসকোয়্যার লিমিটেডের ৩৪ জন শ্রমিক গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাসায় চলে গেছে।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী নূর খান কালবেলাকে বলেন, এল এসকোয়্যার লিমিটেড কারখানায় তিন হাজার ৭৫০ জন শ্রমিক রয়েছে। আমি শনিবার সারাদিন কারখানায় ছিলাম, ১৮০ জনের মতো শ্রমিককে কারখানার ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনকে দেখে অন্যজন অসুস্থ হওয়া আসলে এটা মনস্তাত্ত্বিক রোগ। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন আমাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।
মন্তব্য করুন