মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উপজেলায় গাজীখালী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদী পাড়ের শত শত বিঘা ফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকিতে পড়েছে। উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা-কলাবাগান এলাকার গাজীখালী নদীতে চলছে অবৈধ এ কর্মযজ্ঞ।
ড্রেজার মালিকরা বলছেন, একটি সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য নদী থেকে কিছু বালু ফেলা হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর সংযোগ সড়ক ছাড়াও একাধিক স্থান থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অবৈধ ড্রেজার বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে আটিমাইঠান গ্রামের মো. আক্কাসের একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে। এ ছাড়া কলাবাগান গ্রামের বাদশার মাজারের পাশের কয়েকটি পুকুর ও নিচু জমি ভরাটের কাজ চলছে। নদীর যেখানে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে তার পাশেই রয়েছে তিন ফসলি জমি। নদীর দুই পাড়ে শত শত বিঘা কৃষিজমি। ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলায় হুমকিতে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।
ইরতা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীর পাশে আমার দুই বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। যেভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে যেকোনো সময় আমার জমিগুলো নদীতে ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আব্দুল আজিজ নামে এক কৃষক জানান, সেতুর সংযোগ সড়কের কথা বলে আশপাশের পুকুর ও নিচু জমিগুলো ভরাট চলছে। ইতোমধ্যে বালু বিক্রি করে কয়েকটি পুকুর ও নিচু জমি ভরাট করা হয়েছে। এটি বন্ধ না হলে নদীপাড়ের কৃষি জমি ও বাড়িঘর যেকোন সময় ভেঙে পড়বে।
ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন বলেন, গাজীখালি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য কিছু মাটি দরকার। তাই ড্রেজার বসিয়ে কিছু বালু উত্তোলন করেছি। রাতে আমি যখন ছিলাম না তখন কিছু বালু অন্যত্র ফেলা হয়েছে। তবে সেতুর সংযোগ সড়কের বাইরে আর বালু ফেলা হবে না।
নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি কে দিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি কালবেলাকে বলেন, লিখিত কোনো অনুমতি নেইনি। তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানেন।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু কালবেলাকে বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি এখনই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন