ফরিদপুরের সালথায় আরিফা বেগম (২০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও পেটে লাথি মারায় রক্তক্ষরণের পর মৃত নবজাতক প্রসবের অভিযোগ করেছেন ওই নারীর পরিবার।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নারীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আরিফা বেগম গোপালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের মেয়ে ও একই উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী বলে জানা যায়।
ওই নারীর পরিবারের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পক্ষের লোকজনের হামলায় ইয়ার আলী (৫২) নামের এক মুদি দোকানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার মারা যান। এরপর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে মাঝেমধ্যেই ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একপর্যায়ে বাধা দিলে অন্তঃসত্ত্বা আরিফার গলা টিপে পেটে লাথি মারা হলে রক্তক্ষরণ হয়। পরে সে মৃত বাচ্চা প্রসব করে।
এ ঘটনার পর রাতে আরিফাকে হাসপাতালে নিতে দেয়নি প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে পাশের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও একটা পক্ষকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা বলে দাবি করেছেন বিপরীত পক্ষের নেতা আইয়ুব মাতুব্বর।
তিনি বলেন, ওই নারীকে কোনো মারধর কিংবা নির্যাতন করা হয়নি। এরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের পক্ষের লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ওই নারীর এমনিতেই গর্ভপাত হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় একটি হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে আরেকটি নবজাতক হত্যার নাটক সাজাচ্ছেন।
সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, এমন একটা ঘটনা শুনেছি। ওই নারীর এর আগেও গর্ভপাত হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে ওই এলাকায় একটা খুন হয়েছে। বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে প্রতিপক্ষ দাবি করছেন। তাই সবকিছু মাথায় নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।