স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠতে শুরু করেছে ক্ষতির চিহ্ন। আর এ বন্যার থাবা থেকে বাদ যায়নি বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বন্যায় কুমিল্লা জেলায় অন্তত ৮৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বন্যায় জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ৭১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৩টি উচ্চবিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে জেলার মোট ২ হাজার ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়া এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম সংস্কার বা মেরামতের আগে চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও জানা যায়, জেলায় উপজেলা পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আদর্শ সদর উপজেলায় ১৮টি, লাকসামে ৬৭টি, চৌদ্দগ্রামে ১০৫টি আংশিক এবং ৬৮টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৮০টি আংশিক এবং ১২টি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত, বুড়িচংয়ে ৬৫টি আংশিক এবং দুটি পুরোপুরি, নাঙ্গলকোটে ৮০টি, মনোহরগঞ্জে ৮৯টি আংশিক এবং ১১টি পুরোপুরি, লালমাই উপজেলায় ১৪টি আংশিক ও ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বরুড়া, তিতাস ও মুরাদনগরে ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তুলনামূলক কম।
কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম কালবেলাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ করে পাঠদান উপযোগী করার আবেদন করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম চালুর চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন