কুমিল্লায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সাবেক ওসি নজরুল ইসলামসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার প্রধান বিচারিক হাকিম ৫ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. একরামুল হক মজুমদার।
মামলার বাদী মো. একরামুল হক মজুমদার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোট এলাকার খিদর আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে একরামুল হক মজুমদার জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- নাঙ্গলকোট থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, তার ছেলে যুবলীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন, নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল, আওয়ামী লীগের নাঙ্গলকোট উপজেলার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান, মো. মোস্তাক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আবু ইসহাক, হান্নান, ফরাদ, ইমরান, মো. নোমান, মো. সাইফুল, তুহিনসহ নামীয় ৩৫ জন ও অজ্ঞাত আরও ৫০ জন।
মামলার বাদী আইনজীবী একরামুল হক মজুমদার জানান, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোটের আশারকোটা এলাকায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন বিএনপি সমর্থিত সংসদ সদস্যপ্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী। ওই সময় অভিযুক্তরা রামদা, ছেনি, পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে আইনজীবী একরামুল হক মজুমদার ও আশপাশের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর ও তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের মারধর করে তাদের মোবাইল ও টাকা পয়সা রেখে দেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও ওসি নজরুল ইসলাম মামলা নেননি। ওসি উল্টো তাকে (একরামুল হক মজুমদার) মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
একরামুল হক মজুমদার বলেন, পরে থানার ওসির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর আদালতে এলে সেখানে আমি একজন আইনজীবী হওয়া স্বত্বেও আমাকে হেনস্তা করা হয় এবং মামলা নেওয়া হয়নি। স্বৈরাচারের পদত্যাগের পর আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেই। আজ মামলা দায়ের করেছি। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দ্রুতই আসামিদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদী।
মন্তব্য করুন