ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হামিরহাটী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি মূল্যবান গাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তন করা গাছগুলোর মূল্য আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা হবে বলে এলাকাবাসীর দাবি।
খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈষিতা আক্তারের সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কর্তন করা গাছের অংশগুলো জব্দ করেন।
জানা গেছে, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হামিরহাটী গ্রামের একটি ক্যানেলের ধারে ৬টি বড় বড় কড়ই গাছ ছিল। গাছগুলো নিজের দাবি করে ওই গ্রামের শফি মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সালাম বিক্রি করে দেয়। গাছগুলো কাটার সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে তিনি কোনো কথাই শোনেননি। গ্রামবাসী বলছেন, গাছগুলোর মালিক সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেগুলো অবৈধভাবে কাটা হয়েছে বলে গ্রামবাসীর দাবি।
এদিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈষিতা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গাছের প্রকৃত মালিক কে তা নিরূপণে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়িত্ব দেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৬টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বেশিরভাগ গাছই পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির মধ্যে পড়েছে। কর্তিত গাছ জব্দ করে দ্রুত সেগুলোর অবস্থানের সীমানা নির্ধারণ করে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা আব্দুস সালামের বাড়ি গেলে তিনি সেখান থেকে সটকে পড়েন। তবে তার ছেলে আবু সাইদ জানান, সব গাছই তাদের জমিতে। এর মধ্যে একটি গাছ হয়তো পানি উন্নয়ন বোর্ডের হতে পারে।