সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়েছিলেন মো. সাহেব আলী (৭০) ও মনোয়ারা বেগম (৫৮) দম্পতি। সেখানে গিয়ে সাহেব আলী নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বামীর সন্ধান না পেয়ে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরেন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
গত ২১ আগস্ট সৌদি আরবের মক্কার মানার আল খায়ের হোটেলের কক্ষ থেকে নিখোঁজ হন সাহেব আলী।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. সাহেব আলীর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের নতুন বাজার মহল্লায়। তিনি স্থানীয় সিধলা ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা।
পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের জন্য গত ২০ আগস্ট সাহেব আলী ও তার স্ত্রী এসভি-৮০৯ নং বিমানে চড়ে সৌদি আরবে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর স্ত্রীকে নিয়ে মক্কার আল মানায় খায়ের হোটেলের নবম তলার একটি রুমে ওঠেন। ২১ আগস্ট সাহেব আলী ফজরের নামাজ আদায়ের পর পর হোটেলের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন।
এরপর ওইদিন সৌদি আরব সময় দুপুর ১২টার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওমরাহ পালন শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর সাহেব আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দেশে ফিরেছেন।
এদিকে সাহেব আলীর সন্ধান চেয়ে তার ছেলে মনিরুজ্জামান গত ২৮ আগস্ট ঢাকা হজ ক্যাম্পের পরিচালক আবেদন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হাজিদের তত্ত্বাবধায়ক গৌরীপুর বড় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মোস্তাকিম বলেন, সাহেব আলী নিখোঁজের পর সৌদি হজ ক্যাম্প ও হজ মিশনে জানানো হয়েছে। সেখানকার স্থানীয় সব থানা ও হাসপাতালেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আমারা দেশে ফিরলেও তার পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে এসেছি। ইনশাআল্লাহ, আশা দ্রুতই সন্ধান পাব।
নিখোঁজ সাহেব আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান বলেন, ২০ আগস্ট আমার বাবা-মা ওমরাহ পালনের জন্য আল আসকা হাজী গ্রুপের মাধ্যমে স্থানীয় পথপ্রর্শক খতিব ও মাওলানা মো. মোস্তাকিমের সঙ্গে সৌদি আরব যান। ২১ আগস্ট বাবা নিখোঁজ হন। মা হজ পালন শেষে দেশে ফিরলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন। আমরা দ্রুত বাবার সন্ধান চাই।
গৌরীপুর থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওমরা হজে গিয়ে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় কেউ অবহিত করেননি। লিখিতভাবে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।