আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে শরীয়তপুরের বিভিন্ন ধরনের ১১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে সেসব অস্ত্র নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শরীয়তপুর জেলার ছয়টি থানায় ৯৪টি অস্ত্র জমা হয়েছে। জমা দেওয়ার বাইরে আছে ১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিধি মোতাবেক এখন সেগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেগুলো উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিএসবি শাখার ডিআইও-১ মো. কামরুল হোসেন তালুকদার।
পুলিশ সুপার কামরুল জানান, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করেছেন। লাইসেন্সপ্রাপ্ত সামরিক বেসামিরক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন অস্ত্র বা গোলা কেনেননি। এর মধ্যে ১৯টি লাইসেন্স পায় সেনা সদস্যরা। বাকি মোট ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বেসামরিক ৮ জন অন্য জেলায় অবস্থান করায় সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র জমা দিয়ে (জিডি মূলে) ডকুমেন্ট অত্র কার্যালয়ে জমা দেন। সামরিকদের মধ্যে ৮ জন কর্মরত থাকায় তাদের অস্ত্র জমা দিতে হয়নি।
জেলায় শতভাগ অস্ত্র জমা পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম কালবেলাকে জানান, অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গঠিত বিশেষ টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। আপাতত আমরা বিভিন্ন যানবাহন গুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি।
মন্তব্য করুন