পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানসহ ৭০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান দুই আসামিসহ প্রায় সবাই পলাতক।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার ওসি এবিএম মাসুদ পারভেজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি এবিএম মাসুদ পারভেজ বলেন, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা চালানোর অভিযোগে মামলটি দায়ের করা হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ৭০ জন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে আরও ১৫০-২০০ জন।
তিনি বলেন, যদিও মামলার প্রধান দুই আসামিসহ প্রায় সবাই পলতাক। তবে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশ। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার (৫০), দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর (৫২) ও ঝালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমরান আলী (৪০)।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরীফ, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান ফিরোজ, আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার আলী, সাবেক পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, আকতার আলী।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, কিশমত গণকৈড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ, পানানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজুম।
ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক ছালিমুদ্দিন, পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিল খান।
এদিকে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগের দিন অর্থাৎ গত ৪ আগস্ট রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা মেডিকেল মোড়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতাকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক নাশকতা চালায়।
মন্তব্য করুন