নেত্রকোনার কেন্দুয়ার বাঁশটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্রে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ জান্নাতের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়।
তদন্ত চলাকালে বিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষার্থীরা স্যারকে পেয়ে প্রধান শিক্ষককে তার পদে বহাল রাখার জন্য তদন্ত কমিটির কাছে জোরালো দাবি জানায়। একপর্যায়ে তারা একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ জান্নাতকে প্রধান করে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজারকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার।
উল্লেখ্য, উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেন এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই পদত্যাগ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা চলছিল।
পদত্যাগের বিষয় জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেননি। এলাকার উচ্ছৃঙ্খল কিছু জনতা ও কয়েকজন ছাত্র তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে ২১ আগস্ট এবং জেলা প্রশাসককে ২২ আগস্ট লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, আমাকে আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসী যে সম্মান দেখিয়েছে তা ভুলবার নয়। শিক্ষক হিসেবে আমি স্বার্থক।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তদন্ত কমিটির প্রধান মিজ জান্নাত বলেন, উপজেলার বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিরাজমান ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদারের নির্দেশে আমরা তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার পেছনে এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা দায়ী বলে প্রমাণিত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
মন্তব্য করুন