চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পারিবারিক বিরোধের জেরে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ছয়জন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ ফটিকছড়ি জাফতনগরের ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেলপারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর ও মো. আলমগীর। তারা জাফতনগরের ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেলপারের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে চার ভাই করিম, রাসেল, জাহাঙ্গীর ও আলমগীর দেশে আসেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় করিম অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী ও মেয়েকে কোপাতে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন আসলে চার ভাইয়ের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর ও আলমগীর দুই ভাই নিহত হন। আহত হয়েছেন সাহাবুদ্দিন, বাচ্চু, বোরহানসহ ছয়জন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী করিমের মেয়ে নাজিফা নাজমিন বলেন, আমার আম্মু ও আব্বুর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। আব্বু বিদেশে থাকা অবস্থায় আব্বুর স্বাক্ষর করা একটি তালাকনামা পাঠায়। এটি কি আব্বুর স্বাক্ষর নাকি অন্য কারো জানি না। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বসা বৈঠকে মায়ের সঙ্গে বাবার কাবিননামা নিয়ে বাদানুবাদ বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার বাবা করিমসহ তারা (চাচারা) তিনজন মিলে হঠাৎ অতর্কিতভাবে কিরিচ দিয়ে আমার মা ও আমার ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন, আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে বাঁধা দিলে তাদেরকেও কোপাতে থাকেন আব্বুসহ বাকি তিন চাচা। পরে এলাকাকাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এতে আমার চাচা জাহাঙ্গীর ও আলমগীর দুই ভাই নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
জাফতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসী করিম ও স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। প্রবাসী করিম তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর নিহত হন। এ ছাড়া ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ফটিকছড়ি থানার ওসি আবু জাফর তুহিন কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনা জেনে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন