চট্টগ্রামে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চিকিৎসক। আসামিদের মধ্যে এক পুলিশ উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক রয়েছেন।
মামলার এজাহারে চিকিৎক জাহাঙ্গীর আলমকে চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে এক চিকিৎসককে চাঁদা না পেয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে রাউজান থানাকে মামলা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার ভুক্তভোগী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালতে মামলার আবেদন করলে মঙ্গলবার রাউজান থানার ওসিকে মামলা হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টোটন মজুমদার, পাইওনিয়ার হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. ফজল করিম ওরফে বাবুল, পাইওনিয়ার হাসপাতালের পরিচালক মনজুর হোসেন, রাউজান থানার সাবেক এসআই শাফায়েত আহমদ ও পাইওনিয়ারের সুপারভাইজার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় পথেরহাটে তার পরিচালিত প্রাইভেট চেম্বারে (অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার) রোগী দেখছিলেন। এসআই টোটন মজুমদার তাকে বিএনপির কমিটিতে নাম থাকায় ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন; অন্যথায় বাঁচতে চাইলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় এসআই টোটন মজুমদার, এসআই শাফায়েত আহমদ ও রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমের চেম্বারে গিয়ে অপহরণ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে নোয়াপাড়ার অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে সাদা পোশাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তুলে নিয়ে যায় ওরা। এর ৮ ঘণ্টা পর পাইওনিয়র হাসপাতালের সুপারভাইজার মিথ্যা মামলাটি করে। আর অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রাসেলকে কথিত ভিকটিম বানানো হয়। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে এ বছরের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত আমার চেম্বারটি বন্ধ ছিল।
মন্তব্য করুন