বান্দরবানের থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেছেন, বাঁশ কোড়ল নয়, এখন থেকে জুমের পাকা ধান উত্তোলনের আগ পর্যন্ত সীমান্তে অনাহারে থাকা পাহাড়িরা পেট ভরে ভাত খেয়ে বেঁচে থাকবে। কোনো শিশু বা পরিবার অনাহারে থাকবে না। এরই মধ্যে তাদের দেওয়া হয়েছে সুচিকিৎসা ওষুধসহ সরকারি মৌলিক সেবা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ইউএনও আরও বলেন, কালবেলা পত্রিকায় গত ২৬ আগস্ট সীমান্তবর্তী দুর্গম পাড়ায় ‘খাদ্যভাবে বাঁশ কোড়ল খেয়ে ৬৪ পরিবারের জীবনযাপন’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ায় এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর ও নজড়ে পড়ে।
তিনি বলেন, আমাকে এতদিন জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তের মানুষের আহাজারির কথা জানাননি। এসব অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় খবর পাইনি। আমি কালবেলা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও থানচি উপজেলা প্রশাসন যৌথ আয়োজনে দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরে ত্রাণ ভান্ডার থেকে মঙ্গলবার রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে দুই মেট্রিক টন চাল, ৭০ কেজি তেল, ৭০ কেজি লবণ ও ৭০ কেজি ডাল জরুরি ভিত্তিতে সীমান্তে পৌঁছানো হয়েছে। আমাকে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে সীমান্তে কোনো শিশু ও পরিবারকে যেন না খেয়ে থাকতে না হয়। বর্তমানে সেখানে জুমের ধান পাকার আগ পর্যন্ত যথেষ্ট খাবার মজুত রয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দুটি টিম ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। আরও তিনটি মানবিক সংগঠন ত্রাণ দিতে যাবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন