রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হ্রদে পানির চাপ কমাতে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন অব্যাহত আছে। তবে এবার কাপ্তাই হ্রদের পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের স্প্রিলওয়ে বা জলকপাটগুলো ৫ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে বাঁধ দিয়ে ৯৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু থাকায় প্রতি সেকেন্ডে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীতে স্রোত বাড়ায় চন্দ্রঘোনা-রাইখালী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ ১০৮.৭২ এমএসএল। এবং পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
এ ছাড়া ১০৮ এমএসএল ক্রস করলে তাকে বিপৎসীমা ধরা হয়। পানি বিপৎসীমা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ নিচে না নামা পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জলকপাটগুলোর উচ্চতা বাড়িয়ে পাঁচ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ কমলে আবার বাঁধের গেইটের উচ্চতা কমিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে বর্তমানে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
এদিকে কাপ্তাই বাঁধের জলকপাটগুলো ৫ ফুট করে খুলে দেওয়ার পর কর্ণফুলী নদীতে স্রোত বেড়েছে। এতে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সাময়িক বন্ধ রয়েছে বান্দরবানের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ।
কাপ্তাই চন্দ্রঘোনার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনার সঙ্গে চলাচলকারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ফেরি মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে রাঙ্গামাটি-রাজস্থলী ও বান্দরবানের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। বিপাকে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। তবে বিকল্প সড়ক হিসাবে রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকার সেতু ব্যবহার করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে সওজ রাঙামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ আছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকলে মঙ্গলবারও ফেরি বন্ধ থাকতে পারে। স্রোত কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
মন্তব্য করুন