বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পঞ্চগড়ের পাঁচজন শহীদের মধ্যে চারজনের পরিবারে এক লাখ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রত্যেক পরিবারের বাড়িতে গিয়ে নিহতের স্বজনদের হাতে এই অর্থ তুলে দেন সমন্বয়ক সারজিস আলমের ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন শাকিব।
এদিন সহায়তা দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহত পঞ্চগড়ের সাজু মিয়া, আবু সাঈদ, সাব্বির হোসেন সাগর ও শাহাবুল ইসলাম শাওনের পরিবারকে।
সাজু মিয়া দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা মিরপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। ৪ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়। গাজীপুরের একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করে পরিবার চালাতেন সাজু মিয়া। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক অধিকার পরিষদের পঞ্চগড় জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। গত ৫ আগস্ট একদফা দাবির আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাজু।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মুদি দোকান করতেন আবু সায়েদ। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) নামাজের পর দোকানের জন্য পলিব্যাগ আনতে সড়কে বের হলে আন্দোলনের মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। সেই গুলিবর্ষণে তার মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিনি। তার গ্রামের বাড়ি বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের প্রধানহাট এলাকায়।
এ ছাড়া পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট এলাকার সাব্বির হোসেন সাগর (১৯) এবং দেবীগঞ্জের টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের কাদেরের মোর মেলাপাড়া এলাকার শাহাবুল ইসলাম শাওন ঢাকার আন্দোলনে মারা গেছেন।
অর্থসহায়তা প্রদানের সময় পঞ্চগড় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, মোকাদেসুর রহমান সান, সহ-সমন্বয়ক খোরশেদ মাহমুদ, আশিকুজ্জামান, রাশিদুল ইসালাম রাশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।