মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসায় না গিয়েও বেতন নেন আ.লীগ নেতা

অভিযুক্ত শিক্ষক হেলাল মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক হেলাল মিয়া। ছবি : সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের এক মাদ্রাসা শিক্ষক দুবছর ধরে অংশ নেন না কোনো শ্রেণি কার্যক্রমে। অথচ ঠিকই সময়মতো ওঠান বেতন ভাতা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ডোবাগাঁও বাহরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক (কৃষি) ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সদস্যসচিব মো. হেলাল মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, দুই তিন দিন আগে মো. হেলাল মিয়া চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য চিঠি দিয়েছেন।

হেলাল মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪ নম্বর সিন্দুরখান ইউনিয়নের ডোবাগাঁও বাহরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক পদে কর্মরত থাকার পরও বছরের পর বছর ক্লাস করান না। ভ্বশিরভাগ শিক্ষার্থীরা তাকে চেনেনও না। কখনো ক্লাস নিতে দেখেনি শিক্ষার্থীরা। কয়েক বছর ধরে তিনি মাদ্রাসায় মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করেন। অথচ শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার উপস্থিতি বিদ্যমান।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ডোবাগাঁও বাহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল মিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সদস্যসচিব হওয়ায় এবং সাবেক মাদ্রাসায় তার একটা প্রচ্ছন্ন ও সুস্পষ্ট প্রভাব বিদ্যমান ছিল। ফলে তিনি বছরের পর বছর ক্লাস না করে প্রতি মাসে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন।

মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলম বলেন, আমি এ মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি থেকে লেখাপড়া করছি। এবার দশম শ্রেণিতে পড়ছি। আমি কোনোদিন হেলাল স্যারকে আমরা ক্লাসে পাইনি।

মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ছাইফুদ্দিন মো. ইয়াহইয়া বলেন, হেলাল সাহেব গত কয়েকদিন যাবত মাদ্রাসায় নিয়মিত আসছেন। এর আগে যা হয়েছে তা বাদ দিয়ে দেন। তিনি ক্লাস না করালেও তার বদলে দুইজন অস্থায়ী শিক্ষক ক্লাস করিয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষককে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।

মাদ্রাসার সদ্য বিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেখে আসছি শিক্ষক হেলাল মিয়া ক্লাস না করিয়েও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন। এত বছর এ বিষয়ে বলার মতো সাহস কারোর ছিল না।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এর আগে আমার কার্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকেও মাদ্রাসায় পাঠিয়েছি। তিনি রিপোর্ট দিয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। অনুপস্থিত থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা, নিয়মিত বেতন তোলা এসব বেআইনি। যদি তদন্ত করে প্রমাণিত হয় তাহলে অনিয়মে জড়িতদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির আটক

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১০

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১১

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১২

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৪

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৫

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৬

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

১৭

২৮ থেকে ৪২তম বিসিএসের বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার

১৮

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

১৯

আমার কষ্ট নেই, আজ আমরা স্বৈরাচারমুক্ত : আহত তানভীরের পিতা

২০
X