যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মারধর ও ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামের মিরাজুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) কেশবপুর থানার ওসি জহিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবদিয়া এলাকার দবির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, বাবলু গাজীর ছেলে টিপু সুলতান, ব্রহ্মকাটি এলাকার মৃত রফিক খন্দকারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, জহর মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আলতাপোল এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে সৌরভ হোসেন, বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. হাসান, খতিয়াখালি গ্রামের অধ্যায়িত দাসের ছেলে শ্রীকান্ত দাস, ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের নিজামউদৌলার ছেলে তানজিম ও পারভেজ।
ব্রহ্মকাটি এলাকার লতিফ গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের আলাউদ্দিন দপ্তরির ছেলে তরিকুল ইসলাম, ব্রহ্মকাটি এলাকার তবিবার রহমানের ছেলে তুষার, আব্দুর রহমানের ছেলে জামির হোসেন।
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রাজার ছেলে আশিক, পাথরা গ্রামের হালিমের ছেলে পারভেজ, শহরের সাহাপাড়া এলাকার কার্তিক সাহার ছেলে প্রান্ত সাহা, বালিয়াডাঙ্গা এলাকার দীপু দাসের ছেলে সুজন দাস, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মারুফ হোসেন ও চিংড়া গ্রামের তুহিন রেজাসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেশবপুর কলেজ মাঠে আসতে শুরু করে।
এ সময় কেশবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলামের নির্দেশে আসামিরা কলেজ মাঠে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় অহিদুর রহমান অন্তু, আব্দুল হালিম অটল, সাহেদ আলী, মাছুম, মিরাজ ও পলাশ আহত হন।
ওসি জহিরুল আলম কালবেলাকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনের নামে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, মারধর ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন