রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদসহ দলটির চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক, বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন এবং বাঘার আড়ানী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামান শহিদ।
জানা গেছে, সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদকে পুঠিয়া এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। এ ছাড়া বাকি দুজনকেও নিজ নিজ এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বাগমারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে বাগমারা থানা পুলিশের একটি দল গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারকে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাগমারা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শিমুল আলী খাঁ নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট রামরামা গ্রামের খুরশেদ আলী খাঁর ছেলে শিমুল আলী খাঁ বাদী হয়েছে ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলার ৩নং আসামি এই আলমগীর সরকার। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানার এসআই মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় বলা সম্ভব নয়। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
মন্তব্য করুন