পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ছাত্রের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চকশিমুলীয়া গ্রামের আব্দুল কাদের। ছবি : কালবেলা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চকশিমুলীয়া গ্রামের আব্দুল কাদের। ছবি : কালবেলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চকশিমুলীয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল কাদের। তার বাবা, পেশায় একজন পান-বিড়ি বিক্রেতা হলেও ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন আকাশছোঁয়া। এ কারণে ছেলেকে পড়াশোনার জন্য পাঠান ঢাকায়। সেখানকার আহছিনিয়া মিশন ইনস্টিটিউট টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

গত (৪ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন কাদের। আর তাতেই পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুর্ণবিচূর্ণ হয়। বর্তমানে আহত অবস্থায় বাড়িতেই আছে কাদের।

চিকিৎসকরা বলছেন, কাদেরের সুস্থ হতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু গরিব বাবার পক্ষে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ আব্দুল কাদের বলেন, আমি ঢাকার আহছিনিয়া মিশন ইনস্টিটিউট টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমি একজন সম্মুখযোদ্ধা ছিলাম। আন্দোলনের প্রথম থেকেই আমিসহ আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই রাজপথে ছিলাম। গত (৪ আগস্ট) মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি রবার বুলেট গুলি আমার বুকের ডান পাশে লাগে এবং পিঠের পেছন পর্যন্ত ছিদ্র হয়ে যায়। আমি রাস্তায় পড়ে যাই সহপাঠীরা আমাকে প্রথমে আল-হেলাল হাসপাতালে নেয়। ওই হাসপাতালে গুলি বের করার মতো যন্ত্রপাতি নেই বলে জানায় ডাক্তার। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আমাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার ডাক্তারও প্রথমে চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চায়। সেখানে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রাখতে অন্য এক মানবিক ডাক্তার বুকের পাশে ছিদ্র করে নল লাগিয়ে দেয়। ৩ দিন পর পিঠ ছিদ্র করে রাবারের গুলিটি বের করেন।

আব্দুল কাদের আরও বলেন, সামনেই আমার ফাইনাল পরীক্ষা হলেও এমন শরীর নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। উন্নত চিকিৎসা করার মতো আমার অভাবী পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রতি আমার নিবেদন আমার চিকিৎসার যেন সুব্যবস্থা করা হয়।

ছাত্র কাদেরের মা কামরুন বলেন, আমার ছেলে আমার বুকে জীবিত ফিরে এসেছে আল্লাহর দরবারে লাখ-কোটি শুকরিয়া। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় হাসপাতালে ১৬ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে এসেছে। আগের মতো এখন সে সুস্থ সবল চলাফেরা ও জোরে কথা বলতে পারে না। ডা. বলছেন তার আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রক্তপাত এড়াতে নিজেই ধরা দিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন

মাংস বিক্রির উদ্দেশে রাতের অন্ধকারে ঘোড়া জবাই, অতঃপর...

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২০৮৫ মামলা

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাড়ে ৬ হাজার টাকার জন্য হত্যা করা হয় হোসাইনকে

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার হাতে চাচার মৃত্যু

সুপার ওভারে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

ছাগলকাণ্ড : মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজ কারাগারে

জয়ী না হলে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প

পুলিশ সদস্যদের ওপর অটোরিকশাচালকদের হামলা, আহত ৪

১০

খেলাধুলাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই : আমিনুল হক 

১১

টাকার বিনিময়ে পুত্রশোক ভোলা যায় না : শহীদ আশরাফুলের মা

১২

এক উপজেলায় বছরে ৬০ জনের অপমৃত্যু

১৩

সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সংসদ নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দ্রুত সেরে উঠুক আশিক রহমান, কামনা রাষ্ট্রদূত মুশফিকের 

১৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ সুবিচার নিশ্চিত করা : আসিফ নজরুল

১৬

ধার-দেনা করে আলু চাষ, লাভের বদলে কাঁধে ঋণের চাপ

১৭

যে শঙ্কায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন টিউলিপ

১৮

তিন কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৫

১৯

দাবানলে ৬০ লাখের বেশি মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে

২০
X