জামালপুর সদরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পাঁচ-ছয় দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা করে। দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহত ওই আ.লীগ নেতার নাম আহসান আলী। তিনি সদর উপজেলার লক্ষীরচরের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি লক্ষীরচর ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য ও ৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষীরচর ইউনিয়ন কার্যালয়ে টিসিবির স্লিপ বিতরণ শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন আহসান আলী। পথে ইলিমবাড়ী মসজিদের কাছে পৌঁছনোর পর ৪-৫ দুর্বৃত্ত তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পাশের জমিতে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে ইউপি সদস্য আহসান আলীকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার রাত ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নিহতের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত শনিবার পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা হয়। এতে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন- নিহত আহসান আলী মেম্বারের ছোটভাই কামাল হোসেন, প্রতিপক্ষের আব্দুস সামাদের ছেলে আলী হোসেন, হারুন মাস্টারের ছেলে সম্রাট হোসেন ও সুমন।
এর মধ্যে আলী হোসেনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকিদের জামালপুর ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনীর একটি দল ও জামালপুর সদর থানা পুলিশ।
এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। নিহতের বিক্ষুব্ধ লোকজন রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নৌকাযোগে লক্ষীরচর থেকে নান্দিনা বাজারে গিয়ে আব্দুস সামাদের ছেলে আলী হোসেনকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে। এ ছাড়াও নাজিম, সম্রাট ও সুমনের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
জামালপুর সদর থানার ওসি মহব্বত কবির কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ত্রিশজনকে আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন