বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানসহ চার সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রুতবিচার আইনে মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্রর আদালতে মামলা করেন দোয়ারাবাজারের এরোয়াখাই গ্রামের মো. হাফিজ আহমদ। তিনি ওই গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে।
মামলায় ১ নম্বর আসামি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রণজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক রিয়াজ আহমদ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মঞ্জুর আহমদ খন্দকার, সজিব রঞ্জন দাশ সল্টু, লিখন আহমদ, জিসান এনায়েত রেজা, আহসান জামিল আনাস, জিকির আলীসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২শ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই গুরুতর আহত জহুর আলী, রিপন মিয়াসহ আহতদের শহরের পুরোনো বাসস্টেশনে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্রলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে আহত করেছেন।
হামলাকারীরা কেউ সশরীরে ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে গেলে আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের অসহযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন।
মামলা দায়ের শেষে বাদী মো. হাফিজ আহমদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’ মামলার আইনজীবী মাসুক আলম ও আব্দুল হক কালবেলাকে বলেন, গত চার আগস্ট সুনামগঞ্জে মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আক্রমণ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশও হামলা করেছে। এই ঘটনায় আমরা দ্রুতবিচার আইনে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি, আদালত মামলা রুজুর জন্য আদেশ দেবেন।
মন্তব্য করুন