কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কেন্দুয়ায় জলাবদ্ধতায় আমন রোপণ ব্যাহত

জলাবদ্ধতায় ব্যাহত  হচ্ছে আমন ধান রোপণ, বিপাকে কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
জলাবদ্ধতায় ব্যাহত হচ্ছে আমন ধান রোপণ, বিপাকে কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করতে পারেননি অর্ধশতাধিক কৃষক। কৃষকদের দাবি, বন্যার কারণে পানি জমে যাওয়া এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আমন ধান রোপণ করা যাচ্ছে না। ফলে এ বছর প্রায় ৬০০ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থেকে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষকরা ভাদ্র মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত আমন রোপণের সময় পাবেন। এরপর নিয়মিত ধানের জাত রোপণ করলে ফলন ভালো হবে না। তবে নাভি জাতের ধান রোপণ করার সুযোগ থাকবে।

কৃষকরা জানান, উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়ন, চিরাং, নওপাড়া এবং বলাইশিমুল এলাকার প্রায় ৬০০ হেক্টর আবাদি জমিতে আমন রোপণ বাকি রয়েছে। এসব জমি দুই ফসলি এবং এতে শুধু ধানের আবাদ হয়। এই ধান চাষ করে কৃষকদের পরিবারের খাবারের জোগান চলে।

মৌসুম শেষ হতে চললেও জলাবদ্ধতার কারণে এখনও জমিগুলোতে আমন রোপণ করতে পারেননি তারা। অথচ অতীতে কখনও এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি। জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেও প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ কৃষকদের।

চিরাং ইউনিয়নের কৃষক আজহারুল বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে এলাকায় ধানের সবুজ চারায় ভরে ওঠে। কিন্তু এ বছর জলাবদ্ধতার কারণে কেউ ধান রোপণ করতে পারেনি। অথচ মৌসুম শেষ হচ্ছে। আমরা আবাদ করতে না পারলে কী খাব, পরিবারকে কী খাওয়াব?

নওপাড়া ইউনিয়নে প্রায় এক হেক্টর জমি আছে কৃষক সিফাত ও তার পরিবারের। কিন্তু জমিতে এখনো হাঁটুপানি আর কচুরিপানা। ফলে এবছর ধান রোপণ করতে পারেননি তিনি। ধানের চারা রোপণ করতে গেলেও জমিতে জমে থাকা পানিতে ডুবে যাচ্ছে। সিফাত বলেন, আমরা অসহায়। কেউ আমাদের দিকে তাকায় না। শত একর জমি পানিতে তলায় আছে। আমরা কেমন করি আবাদ করব।

কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা কালবেলাকে বলেন, উপজেলায় ২০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭৫০ হেক্টরের মত জমি রোপণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বাকি জমি আবাদ করতে বিলম্ব হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করলে বাকি জমিগুলোতে রোপণ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষি বিভাগের করণীয় নেই। অতি বৃষ্টির কারণে এবং যত্রতত্র ফিশারিজ স্থাপন জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। তবে পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরিষাসহ বিভিন্ন শস্য বীজ প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুতুলকে হু থেকে অপসারণে অনলাইনে চলছে গণস্বাক্ষর গ্রহণ, ব্যাপক সাড়া

চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ, অনুসন্ধান করবে দুদক

ভুয়া আসামি দাঁড় করিয়ে জামিন, ৪ জনের নামে মামলার নির্দেশ আদালতের

অত্যাধুনিক গোয়েন্দা জাহাজ নামাল ইরান

সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক / বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক গড়তে চায় পাকিস্তান

পরিযায়ী পাখির মাংস বিক্রি, বন আদালতে মামলা

দুদক সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন

‘পুরুষের পদোন্নতি হলে পরিশ্রমের ফল, নারীর শরীরের বিনিময়’

যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ হয়ে বাবার মৃত্যু

৪০০ কোটির সেই পিয়নের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১০

আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে

১১

‘৬ কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে’

১২

বাংলাদেশে হতে পারে কাবাডি বিশ্বকাপ

১৩

ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহাকারীদের জন্য সুখবর

১৪

সংসদ সচিবালয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

১৫

আ.লীগ নেতার যোগসাজশে পাহাড় কেটে সাবাড় করলেন বিএনপি নেতা

১৬

ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা

১৭

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক / বাংলাদেশের সব অংশীজনকে নিয়ে কাজ করবে চীন

১৮

বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে জরুরি মিটিংয়ে বসছে বিসিবি

১৯

বাতিল হতে পারে অস্কার অনুষ্ঠান!

২০
X