বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানসহ চার এমপি ও জেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ৯৯ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্রর আদালতে মামলা দায়ের করেন দোয়ারাবাজার এরোয়াখাই গ্রামের মো. হাফিজ আহমদ। তিনি ওই গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে।
মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামিম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গেল ৪ আগস্ট আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই গুরুতর আহত জহুর আলী ও রিপন মিয়াসহ আহতদের শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে গুলি করে, রাম দা দিয়ে কুপিয়ে, পেট্রলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে বিনা উসকানিতে আহত করেছে। তারা কেউবা সশরীরে ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন। আহতরা হাসপাতালেও আওয়ামী চিকিৎসকদের অসহযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজে রয়েছে।
মামলা দায়েরকারী মো. হাফিজ আহমদ সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
মামলার আইনজীবী ছিলেন মো. মোশাহিদ আলীসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী। আইনজীবী মাসুক আলম ও আব্দুল হক বলেন, গেল ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে মিছিল করার সময় আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আক্রমণ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশও হামলা করেছে। এই ঘটনার আজকে আমরা দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি আদালত মামলা রুজুর জন্য আদেশ দেবেন।
মন্তব্য করুন