বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম আরিফের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহত সাজ্জাদ গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের চাপে পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরদিন সকালে নগরীর মিস্ত্রি পাড়া কবরস্থানে দাফন করে।
এই ঘটনায় গত ২০ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন নিহত সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
সাবেক সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী, জাকির হোসেন সরকার, আসাদুজ্জামান বাবলু, বদরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র টুটুল চৌধুরী, সাবেক আইজিপিসহ পুলিশের আট কর্মকর্তা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজু আহমেদের আদালতে মামলাটি করেন জিতু বেগম। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানাকে তদন্ত কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন।
মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক খালেদ হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল হয়নি, তাই আদালতের নির্দেশর সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সাজ্জাদের মা ময়না বেগম বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর থেকে কিছু লোক হুমকি দিয়ে আসছে, মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম আরিফ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গুলিতে সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশ উত্তোলন করেছি।
মন্তব্য করুন