মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে অধ্যক্ষ পদে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের নতুন কহেলা কলেজ। ছবি : কালবেলা
টাঙ্গাইলের নতুন কহেলা কলেজ। ছবি : কালবেলা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নতুন কহেলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ইমাম হোসেন মো. ফারুক। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতি এবং মিথ্যা তথ্যে পুনর্নিয়োগ নিয়ে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ ‍উঠেছে।

সম্প্রতি তার মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়োগ এবং চাকরি করার বিষয়ে নতুন কহেলা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ নুরুল আলম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে অভিযোগ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকেরা।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইমাম হোসেন মো. ফারুক এক সময় এই কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখার শিক্ষক ছিলেন। ২০০৩ সালের মার্চে তিনি অধ্যক্ষ হন। ২০০৪ সালে তিনি এমপিওভুক্ত হন। ওই শাখাতেই তিনি ২০১০ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত চাকরি করেন। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও আয়-ব্যয়ের হিসেব জালিয়াতি এবং কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের টাকার হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে ২০১০ সালের ৮ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন এবং ওই বছরের ১ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। মাত্র আট মাস চাকরি করার পর উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে চাকরিচ্যুত করে।

এরপর ২০১৬ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক নতুন কহেলা কলেজের সভাপতি হলে নিয়ম বহির্ভূত ছুটি দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইমাম হোসেন আবারও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ফজলুর রহমান খান ফারুকও ইমাম হোসেনের পদত্যাগের কথা গোপন রাখেন। এরপর সাধারণ কলেজ শাখায় অধ্যক্ষ হিসেবে ইমাম হোসেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এমপিওভুক্ত হন। যা সরকারি এমপিও নীতিমালার পরিপন্থী।

সূত্রমতে, নিয়োগ জালিয়াতি করে ইমাম হোসেন মো. ফারুক ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে সরকারি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ স্থানীয় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই সাত বছরে উত্তোলিত এমপিও’র টাকা সরকারি কোষাগারে পাঠানোর দাবি তাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম হোসেন মো. ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করিনি। ছুটি নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ছুটি শেষে নিয়ম মেনে যোগদান করি। ৮ মাস ছুটি নিয়ে অন্য কলেজের অধ্যক্ষ হওয়া যায় কি না- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর জেলার ইউএনও শেখ নুরুল আলম কালবেলাকে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুয়েতে বাংলাদেশি যুবকের আত্মহত্যা

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্ধী রনি পেল হুইল চেয়ার

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে : আবু হানিফ

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

১০

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

১১

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

১২

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১৩

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১৪

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১৫

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৬

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৭

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৮

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৯

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

২০
X