পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যদের চাহিদা মাফিক চাঁদা না দেওয়ায় কাপ্তাই হ্রদে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্রে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলেরা মাছ ধরতে নামেনি। এতে সরকার বিপুল রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই মৎস্যজীবী সমিতির দায়িত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু সমর্থিত জেএসএস) সমর্থিত কিছু সদস্য অতিরিক্ত বাৎসরিক চাঁদা দাবি করে, যা অন্যান্য বছরে তুলনায় অনেক বেশি। তাদের চাহিদামতো চাঁদা না দেওয়ায় জেলেদের মাছ ধরতে নিষেধ করে। ফলে কাপ্তাই এলাকার প্রায় ৩০০ জেলে মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক জেলে এবং ব্যবসায়ীরা মারাত্মক সংকটে পড়েছেন।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন উপকেন্দ্র প্রধান জসিম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, রোববার সকাল পর্যন্ত কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাত্র ৫ টন মাছ আসে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে কাপ্তাই উপকেন্দ্রে ৪০-৪৫ টন মাছ আহরিত হতো। এতে রাজস্ব আয় হতো ৮ লক্ষাধিক টাকা। কাপ্তাইয়ের জেলেরা কোনো মাছ অবতরণ না করায় প্রায় একদিনে প্রায় ৭ লাখ টাকা আয় থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে। কী কারণে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত আছে তা আমি জানি না।
প্রসঙ্গত, কাপ্তাই লেকে মাছের প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২৫ এপ্রিল থেকে মাছ আহরণ ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত ৩১ আগস্ট মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়। রোববার সকাল ৬টা থেকে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্রে মাছ বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল।
মন্তব্য করুন