এক মাস ধরে বন্ধ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র উপজেলা সেন্ট্রাল পার্ক। আনন্দ-বিনোদনের জন্য উপজেলাবাসীর কাছে পার্কটি খুবই জনপ্রিয়। চারটি ইউনিয়নের এই থানায় শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের ঘোরাফেরা, অবসর সময় কাটানোর জন্য তেমন জায়গা না থাকায় এই পার্কটিই হয়ে উঠেছে অবকাশ কাটানোর কেন্দ্র। পার্কটি একদিকে যেমন প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে, তেমনি পার্কের কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে তিন মাস। সরেজমিনে গতকাল রোববার দুপুরে গিয়ে পার্কের গেটে তালা ঝুলানো দেখা যায়। পার্কের ভিতরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন খেলনা এবং বসার জায়গা। পার্কে ২ জন মালী, ৪ জন সিকিউরিটি গার্ড, ১ জন ক্লিনার, ১ জন টিকিট মাস্টার এবং ১ জন পার্কিংম্যান নিয়ে মোট ৯ জন কর্মচারী রয়েছেন। পার্কের কর্মচারীরা জানান, এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পার্কটি। অনেকেই আসে পার্কে ঢোকার জন্য। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিন শুক্র এবং শনিবার প্রচুর পরিমাণে লোকজন আসে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় আমরা খুলতে পারি না। পার্কটিতে মালির দায়িত্বে থাকা ফিরোজ বলেন, আমরা তিন মাস ধরে বেতন পাই না। আমরা কীভাবে চলি? আমাদের বেতন খুব সামান্য। তারপরও তিন মাস ধরে বেতন পাই না। আমাদের পেটের ভাত জোটানোই কষ্ট। চলাফেরা, থাকা, খাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। বকেয়া বেতনসহ নিয়মিত বেতন পেলে আমাদের কষ্ট লাঘব হবে।
পরিবারবর্গ নিয়ে পার্কটিতে ঘুরতে আসা উপজেলার জামতৈল গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, এই উপজেলায় ঘোরাফেরার জন্য, তেমন ভালো জায়গা নেই, এই পার্ক ছাড়া। কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি দ্রুতই যেন পার্কটি খুলে দেওয়া হয় আগের নিয়ম অনুযায়ী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, পার্কটি বন্ধ রয়েছে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। বেতনের বিষয়ে ওনাদের সাথে চুক্তি হয়েছিল যে পার্ক থেকে টিকিট বিক্রি করে যে টাকাটা আসবে সেই টাকা থেকে ওনাদের বেতন হবে। যেহেতু পার্ক বন্ধ এজন্য ওনাদের বেতনও দেয়া যাচ্ছে না । কেননা এখানে তো অন্য কোনো ইনকাম নাই। তিন মাসের বন্ধ না যতদিন ধরে পার্ক বন্ধ ততদিন ধরে ওনাদের বেতন বাকি।