ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক বিএনপি সমর্থককে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় শতাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বাঁকচুয়া লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ভায়না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শিখনকে মারধর করে ওই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসিরুল ইসলাম ও ছাত্রদলের সভাপতি রিপনসহ কয়েকজন। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মালিতাকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল হোসেন দাবি করেন, ভোরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্তত শতাধিক বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। প্রতিটি বাড়ি ও আসবাব ভাঙচুর করা হয়। লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল।
ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মাস্টার বলেন, কে বা কারা এসব করেছে সেটি আমরা জানি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের নেতাদের নামে মিথ্যা প্রচারণার কারণে আমাদের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। তার জেরে আমাদের মিন্টু মালিতা নামে এক নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে। আমরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত।
এদিকে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে আহ্বান জানান।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থানায় মামলা বা অভিযোগ দেয়নি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন