দীর্ঘ ৩ মাস সুন্দরবন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে বনে প্রবেশ করতে পারবেন জেলে-বাওয়ালিরা। এ উপলক্ষে সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার ও হরিণ শিকার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা ও ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন অডিটোরিয়ামে ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট (আইসিডি) -এর আয়োজনে ও বন বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আ ব ম আব্দুল মালেক। আইসিডির প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান (আশিক) মহারাজপুর ইউপি সদস্য আবু সাইদ মোল্ল্যা, নিরাপদ মুন্ডা, আশিকুজ্জামান, সুব্রত মুন্ডা জেলে ইসমাইল হোসেন, নুরুল্লাহ, বিল্লাল হোসেন সোলায়মান মোল্ল্যা প্রমুখ।
স্থানীয় জেলা সোলায়মান মোল্ল্যা বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়-ঝঞ্ঝার সময় সুন্দরবন দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় বুকে আগলে রাখে এই সুন্দরবন। সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এটা লক্ষণীয়। এক শ্রেণির অসাধু জেলে বিষ দিয়ে সুন্দরবনে মাছ ও হরিণ শিকারের ফলে দিন দিন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে। বিষপ্রয়োগে এই মাছ ও হরিণ শিকার রোধে জনসচেতনতা খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে বন বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসা দরকার।
আইসিডির প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান (আশিক) বলেন, সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে ওই মাছ ও পানি খেয়ে বাঘ, হরিণ ও ডলফিনসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আর ওই মাছ খেয়ে মানুষ ক্যানসার, কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও নিজেদের বাঁচতে বনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ব ম আব্দুল মালেক বলেন, এই বনকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। এই দায়িত্ব পালনে বড় ভূমিকা রাখবে জেলেরা।