সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি মাজার ভাঙচুরের ঘটনা কেন্দ্র করে মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করল গ্রামবাসী। গতকাল শনিবার উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের শালগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, গত ২৯ আগস্ট উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের আলী পাগলার মাজারে ভাঙচুর চালায় শালগ্রাম তমিজউদ্দিনের বাড়ি জামে মসজিদের পেশ ইমাম গোলাম রব্বানী ও তার লোকজন।
এতে আলী পাগলার মাজারের স্থাপনা ভাঙচুর এবং আলী পাগলার মাজারের ওপর উঠে পা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ রকম কার্যকলাপ দেখে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং শুক্রবার সন্ধ্যার পর শালগ্রাম বাজারে এলাকাবাসী স্লোগানে বলতে থাকে ‘আমি কে তুমি কে, মুসলমান মুসলমান’। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী শনিবার মসজিদের ইমামতি থেকে চাকরিচ্যুত করেন গোলাম রব্বানীকে।
শালগ্রাম তমিজউদ্দিনের বাড়ি জামে মসজিদের মুসল্লি আজগর আলি জানান, একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানের কবরে কীভাবে পা দিয়ে আঘাত করে অসম্মান করতে পারে, আর গোলাম রব্বানী আমাদের মসজিদের ইমাম। তিনি কীভাবে এ কাজ করতে পারলেন।
আরেক মুসল্লি আব্দুর রহমান, তার মুখেও একই কথা, তিনি একজন মসজিদের ইমাম এবং মুসলমান হয়ে দলবল নিয়ে আরেক মুসলমানের কবর ভাঙবে—এটা কেমন কথা। তাই আমরা এমন ইমামের পেছনে নামাজ না পড়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং সে আজ ফজরের নামাজ পড়াতে এলে তাকে চাকরিচ্যুত করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে ইমাম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন