এস আলম গ্রুপের বিলাসবহুল গাড়ি সরাতে সহযোগিতা করতে নয়, চাঁদাবাজির খবর পেয়ে চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করতে বিএনপি নেতারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। তিনি দাবি করেন, বিএনপির নাম দিয়ে কেউ যদি কোনো চাঁদা দাবি করে তাহলে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আমরা চলে এসেছি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলের নাম ব্যবহার করা চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করতেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে ৩০ মিনিটের মতো অবস্থান করে মীর গ্রুপের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করি। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৯ আগস্ট নগরের কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় মীর গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোনে প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বিএনপির নাম দিয়ে চাঁদা দাবি করছে বলে আমাদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামকে জানানো হয়। যদি চাঁদা না দেয়, তাহলে মীর গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালাবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। তাই মীর গ্রুপের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করা হয়। বিএনপির নাম দিয়ে চাঁদা দাবির সে ঘটনা জানার পর এনামুল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, সদস্য কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এসএম মামুন মিয়া, লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফৌজুল আমিন, মফজল আহমদ চৌধুরী, নূরুল ইসলাম, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবা উদ্দিন চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ রফিক, হাজী মো. ইসহাক চৌধুরী, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম শফিক, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, রেজাউল করিম নেছার, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, রেজাউল করিম রেজা, গাজী আবু তাহের, মোর্শেদুল শফি হিরু, সাইফুদ্দিন আহমেদ, তৌহিদুল আলম, আবদুল মাবুদ, শামশুল আলম, মোহাম্মদ মহসিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফিরোজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন