টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি নামের দুটি উপজেলায় গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামারিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দ্রুতই প্রশাসন কর্তৃক প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি দেখতে গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরেন।
এদিকে চাঁদপুর সদরের চান্দ্রার মুরগির খামারি মাসুদ পাটোয়ারী বলেন, আমরা সদরের নিম্নাঞ্চল হওয়ায়, আমাদের সব স্বপ্ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমার দুটি মুরগির খামারই পানির নিচে। যতটুকু পেরেছি অন্যত্র সরিয়ে নিলেও পুরোপুরি সরাতে পারিনি।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, এবারের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শাহরাস্তির ১১টি ও ফরিদগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নের খামারিদের। তাদের মোট ১৫ একর চারণ ভূমি প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ফরিদগঞ্জে দুটি গরু, ২৫টি ছাগল, ১০টি হাঁস ও ১০ হাজার ২৬৯টি মুরগি মারা গেছে। এবং শাহরাস্তিতেও ৫৫০টি হাঁস মারা গেছে। এসব এলাকায় অনেক গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগি জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। খাদ্য, ভূমি, খামারসহ সব মিলিয়ে এই সেক্টরে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকার।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, আমাদের জেলায় ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় সে তুলনায় কম হওয়ায় আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে হয়তো তাদের জন্য কিছু করতে পারব। তবে পশু ও হাঁস-মুরগির ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ আমরা বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।