টানা বৃষ্টিতে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেসে গেছে বিল্লাল হোসেনের ৪০টি পুকুরের সব মাছ। তিনি চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেসার্স খান মৎস্য হ্যাচারির কর্ণধার। এতে তার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এই প্রতিবেদককে এসব কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিল্লাল হোসেন খান। বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি রাখলেও এভাবে যেসব মাছ চোখের সামনে ভেসে যাবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি দেখে লোকজন নিয়ে পুকুরের চারপাশে জাল দিয়ে বেড়া দিচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন খান। কিন্তু বৃষ্টির মাত্রা এতই বেশি ছিল যে তার ৩৫-৪০টি পুকুরের সবগুলো বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। চোখের সামনে দেশীয় প্রজাতির ৮-১০ কেজি ওজনের বড় বড় মাছগুলো সব বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে কলিজাটা হুঁ হুঁ করে সবাই কেঁদে উঠছিল।
এ বিষয়ে মেসার্স খান মৎস্য হ্যাচারির কর্ণধার বিল্লাল হোসেন খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সব পুকুর মিলিয়ে আয়তন হবে প্রায় ৬০ একর। ঢালাও বৃষ্টিতে পুকুরগুলো সব ভেসে যাওয়ায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো তার ক্ষতি হয়েছে। এখন ঘুরে দাঁড়াতে মৎস্য বিভাগের কাছে ক্ষতি পূরণ চাচ্ছি।
বিল্লাল হোসেন খান আরও বলেন, আমার হ্যাচারির দেশীয় প্রজাতির রুই, মৃগেল, পাংগাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মা মাছ বাবা মাছ থেকে রেণু পোনা উৎপাদন করি। যা জেলা সদর ছাড়াও আশপাশের উপজেলাগুলোতেও মৎস্য চাষিদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রাখে। এখন আমার এই অপূরণীয় ক্ষতি পুরো জেলায় মাছের চাহিদা মিটাতে প্রভাব ফেলবে।
মন্তব্য করুন