লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ বন্যার কারণে অবকাঠামো ও খাদ্য বিনষ্টসহ খামারি-গৃহস্থদের পশু-পাখি মারা গিয়ে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ৫ লাখ ১১ হাজার ১১০টি পশু-পাখি বন্যাকবলিত রয়েছে। এতে খামারিসহ গৃহস্থরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ে পড়েছেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) লক্ষ্মীপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বন্যার কারণে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে খামার ও গৃহস্থের ১ লাখ ৬০ হাজার ২১৩টি পশুপাখি মারা গেছে। এরমধ্যে ৩৫টি গরু, ১৭৫টি ছাগল, ১৭টি ভেড়া ও ১টি মহিষ এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০টি মুরগি ও ৯৭৫টি হাঁস।
এতে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। গবাদিপশুসহ ৩০৩টি খামারের অবকাঠামোগত ক্ষতি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা, হাঁস-মুরগিসহ ৪২৩টি খামারের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া ১ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার পশুপাখির খাদ্য বিনষ্ট হয়েছে বন্যায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ৯০০ গবাদিপশু ও ১২ হাজার ৯০০ হাঁস-মুরগিকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৮৪১টি গবাদিপশু ও ৩০ হাজার ৩৬৫টি হাঁস-মুরগিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগরে ১৩ হাজার ৭৯০ একর জমি প্লাবিত হয়েছে। মেঘনা উপকূলীয় এ জেলায় প্রথমে ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রথমে রামগতি ও কমলনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ ছিল।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন, বন্যা-জলবদ্ধতার কারণে লক্ষ্মীপুরে ৩০৩টি গবাদিপশুর ও ৪২৩টি মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গবাদিপশু ও মুরগি মারা গিয়ে খামারিদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এ থেকে উত্তরণে মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছেন। এখনো ৫ লাখ ১১ হাজার ১১০টি পশু-পাখি বন্যা কবলিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন