কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় মৎস্য খামার, পুকুর, মাছের দিঘি তলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মাছ পানির স্রোতে ভেসে গেছে।
উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬ হাজার ৮০৫টি মৎস্য খামারে ৩ হাজার ৩৯৩ জন মাছ চাষি রয়েছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি নাঙ্গলকোট পৌরসভাসহ ১৬টি ইউনিয়নে ভারি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে বিভিন্ন পুকুর, দিঘি, মৎস্য খামার প্লাবিত হয়ে ৫০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান। পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৎস্যচাষি আলী আকবর জানান, বন্যায় তার মৎস্য খামারে বিভিন্ন জাতের সত্তর লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ব্যাংক থেকে ২৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। কীভাবে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জীবন যাপন করছেন। এ উদ্যোক্তা সরকারের কাছে সহযোগিতা চান। আবার যেন মাছ চাষ করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারেন।
মক্রবপুর ইউপির সাহেদাপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যার পানিতে তার দুটি মৎস্য খামারের প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
বান্নাঘর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মো. হুমায়ূন কবির বলেন, বন্যায় তার ৪টি মৎস্য খামার প্লাবিত হয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। সরকার যদি সহযোগিতা করে তাহলে লোকজন থেকে ধার নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকি জানান, এখনো বন্যার পানি রয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেলে তালিকা করা হবে। প্রাথমিকভাবে অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। তালিকা তৈরি করার পর যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহযোগিতা করা হবে।
কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, বন্যায় মাছ চাষিদের যে ক্ষতি হয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। আশা করছি মৎস্যচাষিরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন।
মন্তব্য করুন