মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়কারী তারেক মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই এবং ৩ ও ৪ আগস্ট জুড়ী শহরে কর্মসূচি পালনকালে তিন দিনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ৩ আগস্ট একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে হামলা চালিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
নির্দেশদাতা ও হামলায় জড়িত এজাহারে নাম থাকা উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জুড়ী উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মো. মাসুক মিয়া, জুড়ী উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরি মনি, ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ওরফে জুয়েল রানা, পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী, সাগরনাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুন নুর, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত সদস্য বদরুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ইত্তেফাকের জুড়ী প্রতিনিধি কামরুল হাসান নোমান, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সমকালের জুড়ী প্রতিনিধি বেলাল আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান সুমন প্রমুখ।
জুড়ী থানার ওসি মো. মেহেদি হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।