ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর থানার পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার পর এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে থানার পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন সেনা সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মৃত্যু হওয়া ওই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের নাম হাদিসুর রহমান (২৯)। তিনি জেলা সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয় জনসাধারণ ও নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাদিসুর রহমান মাদকাসক্ত ছিলেন। রাতে ঘরে ইয়াবা সেবনের পর ভোর থেকে তিনি দা হাতে নিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কোপাতে থাকেন। পরে শহরের সিও অফিস এলাকায় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে সদর থানার ফটক ডিঙিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে থানার পুকুরেও ঝাঁপ দেন। পরে তিনি উঠে না আসায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা পুকুর থেকে হাদিসুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে হাদিসুরের মা আলেয়া বেগম ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাদিসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী বেগমের সঙ্গে তার আগের স্বামীর যোগাযোগ নিয়ে প্রায়ই কলহ চলত। এমনকি আগের স্বামী মনির বর্তমান স্বামী হাদিসুরকে মারধরও করেছিল। এ নিয়ে হাদিসুর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তারা হাদিসুরের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন