চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছেন। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষত। এই এলাকাগুলোতে এরই মধ্যে খাদ্য এবং মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের জন্য ত্রাণ বিতরণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট টানা ৪ দিন বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিরাজগঞ্জের মামুন বিশ্বাস। বন্যার্তদের জন্য খাদ্যসামগ্রী, মুড়ি, চিনি, বিস্কুট, পানি, স্যালাইন এবং মোমবাতি ও গ্যাসলাইটসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার, শিশুদের জন্য প্যাকে দুধ ও রান্না করা খাবার সরবরাহ করেছেন তিনি।
জানা যায়, কুমিল্লার মৌকারা, নাঙ্গলকোট, ঢালুয়াসহ কয়েকটি প্লাবিত অঞ্চলে ২৫০টি পরিবার, বুড়িচং খাড়াতাইয়া, মিয়ার বাজার, গাজীপুর কয়েকটি প্লাবিত অঞ্চলে ২৫০টি ও লাকসামে ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার তুলে দেওয়া হয়। ফেনী সোনাগাজীর বকতারপুর আশ্রয়ণকেন্দ্রসহ কয়েকটি গ্রামের ১১০০ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া নোয়াখালী আমানতপুর গোলাম সারওয়ার হাই স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র, করিমপুর,আলীপুর সিঙ্গার রোড বস্তি, আলীপুর দিঘির পাড়, সেনবাগ উপজেলার আহম্মেদপুর, মেহেদীপুর গ্রাম ও আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১২০০ বন্যার্ত মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
মামুন বিশ্বাস জানান, বানভাসীরা বন্যার ক্ষতচিহ্ন দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আবার খাদ্যের অভাবে ভুগছেন। সরকারের পাশাপাশি সারা দেশ থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবক এ মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। সবসময় এমন বাংলাদেশ দেখতে চাই।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আর এই কৃতিত্ব ফেসবুক বন্ধুদের। এই কৃতিত্ব আপনাদের সবার। আমি মাত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।