খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বন্যায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জানা গেছে, বন্যায় তাইন্দং ভগবান টিলা বিজিবি ক্যাম্প রোড, মাটিরাঙ্গা জিসি গোমতী রোড, খেদাছড়া বাজার রোড -বটতলী সড়ক, তবলছড়ি ডাকবাংলা পুরান বাজার বিওপি রোড, রামশিরা -চৌদ্দগ্রাম পাড়া রোড, বড়নাল ডাকবাংলা যামিনীপাড়া রোড, বড়নাল ইউনিয়ন তবলছড়ি পুরান বাজার বিওপি কদমতলী সড়কে প্রায় ২২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
কৃষিতে উপজেলায় মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। আউশ ১৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। আমনের ক্ষতি হয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সর্বমোট ৭ কোটি ৯১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। মোট ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৩ হাজার সাতশ কৃষক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এবারের বন্যায় গোমতী পশ্চিম গড়গড়িয়া এলাকার আবুল কাশেমের একটি পোল্ট্রি ফার্মের ৩ হাজার মোরগ মারা যায়। একইসঙ্গে ওই ফার্মে ১ মাসের মুরগির খাবার নষ্ট হয়। একই এলাকার বেলাল হোসেন নামের খামারীর ২ দিন বয়সী ২ হাজার ৬০০ মুরগির বাচ্চা মারা যায়। তাছাড়া এ উপজেলায় ১১ একর কাঁচা ঘাসের প্লট নষ্ট হয়ে গেছে। মোট ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের বন্যায় ৫ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার সলিং রাস্তা ৩০.৮৩ কিলোমিটার কাচা রাস্তার ক্ষতি হয়। বেলছড়ি ও পৌর এলাকায় ২টা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া ৮৫টি পরিবারের ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। ১৫টি মসজিদ, ২টি আংশিক ব্রিজ, ৫টি কালভার্ট, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা, ২০টি অগভীর নলকূপ মিলে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় মৎস্য খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে ভেসে গেছে মাছের পুকুর। নিঃস্ব হয়েছেন অনেক মৎস্যজীবী। ভেঙে গেছে কাচা ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়েছে অনেক পরিবার। উপজেলার ৫৭০টি বিভিন্ন পুকুর, দিঘি ও ঘের, লেক প্লাবিত হয়ে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন