রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মমিন পাটোয়ারী (৫৪) মারা গেছেন। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সকালে নিহত মমিন পাটোয়ারীর ভাতিজা মুনতাকিম পাটোয়ারী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মমিন পাটোয়ারী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক উপকমিটির সহসম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সদস্য ছিলেন। তিনি জেলার প্রস্তাবিত কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে মমিন পাটোয়ারীর মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়- ‘গত ১৫আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদাক এম এ মমিন পাটোয়ারী ইন্তেকাল করেন । বাংলাদেশে কী এই হত্যার বিচার হবে?’
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, এম এ মমিন পাটোয়ারী গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। সেখানে তিনি হামলার শিকার হন। এতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরিবার সূত্র জানায়, মমিন পাটোয়ারীর সংসারে স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ডায়াবেটিক ও হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন। তার মরদেহ রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া সুমন ফেসবুক আইডিতে মমিন পাটোয়ারীর ছবি দিয়ে আবেগঘন একটি লেখা পোস্ট করেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘ভাই আর নেই। গত ১৫ আগস্টেই আপনাকে হারিয়েছি। তবুও নিষেধ করলেন কাউকে না বলতে। যদি হাসপাতালে আক্রমণ হয়? যদি হাসপাতাল থেকে জেলে নেওয়া হয়? আজ আর কেউ আক্রমণ করবে না। আজ আর কেউ জেলে নেবে না। ভাই ভালো থাকবেন ও পারে। আপনি অনেক আবেগী ছিলেন। মানা করছিলাম গত ১৪ আগস্ট রাতে। আপনি রেগে গিয়েছিলেন। এত অভিমান? অভিমান নিয়েই চলে গেলেন।’
মন্তব্য করুন