গোমতী ও সালদা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে বন্যায় প্লাবিত হয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভেসে গেছে ২ হাজার পুকুর ও দিঘির মাছ। এতে সরকারি হিসেবে ৫০ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। চলমান এই ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্য খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ২ হাজার পুকুর ও দিঘি রয়েছে। প্লাবিত হওয়া এসব জলাশয়ের মোট আয়তন ৪০০ হেক্টর। অসময়ের এই বন্যায় তলিয়ে যাওয়া এসব জলাশয়ে নানা প্রজাতির ছোট-বড় মাছ ছিল যা ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। এতে এ উপজেলায় ৫০ কোটির বেশি টাকার মাছে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এ উপজেলার মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার বেজুড়া এলাকার বাসিন্দা মো. শরীফুর রহমান বাছির কালবেলাকে বলেন, আকস্মিক বন্যায় আমার ৮টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এসব পুকুরে দেশি মাছ ছিল। কোনো কোনো পুকুরে ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের কাতল মাছ ছিল। এই বন্যায় আমার ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই বন্যা আমাকে পথে বসিয়ে গেছে।
উপজেলার মহালক্ষীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহমেদ কালবেলাকে বলেন, হঠাৎ করে আসা বন্যায় আমার দুই পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে আমার ১৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও আমার ৬০ শতক জমির পাকা আউশধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলার বেজুড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল আলীম কালবেলাকে বলেন, আমার একটি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয় বণিক কালবেলাকে বলেন, দুটি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে এ উপজেলার ২ হাজার পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে ৫০ কোটির বেশি লোকসান হয়েছে। যার ফলে খামারি ও ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।