কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বন্যায় একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। তবে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ফুটে উঠছে ক্ষতবিক্ষত সড়ক।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে একযোগে উপজেলার ৪২৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ধীরগতিতে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
কিছু কিছু আঞ্চলিক সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো অধিকাংশ আঞ্চলিক ও গ্রাম্য সড়ক থেকে পানি নামেনি। যেসব আঞ্চলিক সড়কগুলো থেকে পানি নেমে গেছে এতে দেখা যায়, সড়কগুলোতে যান চলাচল তো দূরের কথা, মানুষ চলাচলেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
অনেক সড়কে বন্যার খরস্রোতে ভেঙে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। এতে ওইসব এলাকার গ্রামগুলো থেকে মানুষ বের হয়ে আসতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডে সরজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ সড়কে বন্যার খরস্রোতে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। ৯নং ওয়ার্ডের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বালুজুড়ি এলাকা নামক স্থানে নবনির্মিত টেকনিক্যাল স্কুল পাশের সড়কটি খরস্রোতে তলিয়ে গেছে। দেখলে মনে হবে এখানে কোনো সড়ক ছিল না।
সড়কটি ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই ওয়ার্ডের কয়েক হাজার বাসিন্দা আটকা পড়েছে। পৌরসভার বালুজুড়ি, নোয়াপাড়া, রামচন্দ্রপুর, রামরায়গ্রাম পূর্ব বাইপাস ও সেনিরখিল সড়কগুলো ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ওই তিন ওয়ার্ডে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বালুজুড়ি গ্রামের আলী আশরাফ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ২১ আগস্ট রাতে টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানির ঢলে ৯নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই রাতে পানির স্রোতে সড়কের অধিকাংশ জায়গা ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। এখন এই সড়কগুলো দিয়ে আমরা গ্রামবাসীরা চলা ফেরা করতে পারছি না। যান চলাচল বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন শাহর হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানি কারণে পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সবগুলো সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলোকে নতুন করে আবার তৈরি করে নিতে হবে। আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন