শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে তথ্য সংগ্রহকালে দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি মিরাজ সিকদারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দারুণ আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাতে থানায় দারুল আমান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সবুজ করাতীর স্বজনদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ (জিডি) করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
থানায় লিখিত অভিযোগ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে উত্তর ডামুড্যা আলী আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থী টিফিনের সময় শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হয়। এ সময় দারুল আমান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজ শিক্ষার্থীদের দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। ওই শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের জানায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইউপি সদস্য সবুজ করাতীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখে। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহে যায় দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি মিরাজ সিকদার। এক পর্যায়ে ভিডিও ও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে সবুজের ভাই নান্নু করাতী, মিলন করাতী ও স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম সাংবাদিক মিরাজের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিরাজ সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তাকালে এক ইউপি সদস্যকে স্থানীয়রা আটকে রেখেছে এমন খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে আমি বিষয়টি ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ করেই ওই ইউপি সদস্যর দুই ভাই ও স্ত্রী এসে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সবুজ করাতী বলেন, আমি গাছের ব্যবসা করি। সেখানে গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় কিছু বিএনপির লোকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। তারা আমাকে জোর করে আটকে রাখে। এরপর আমি গলায় ফাঁস নেই। আমার আর কিছু মনে নেই।
জানতে চাইলে ডামুড্যা থানার ওসি এমারত হোসেন কালবেলাকে বলেন, লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক থানায় একটি জিডি করেছেন। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন